Sunday, October 25, 2020

যেভাবে আমরা মধ্যবিত্ত জীবনকে মেনে নেই


এক স্নিগ্ধ আলস্য
ভর করে পুনরাবৃত্তির কাঁধে
সাথে প্রতিভার স্মৃতি
উপরের পাটি ক্ষয়ে ফেলা
বাছুরটি এই দুনিয়ার চক্করে
দৌড়ে খুঁজে ফেরে
সর্বশেষ গোমেধ
যজ্ঞের আগুণের ওম

—————

আমরা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে বিরাজমান থাকতে চাই, অথচ আমাদের প্রতি অঙ্গ প্রতিনিয়ত এই দায়িত্ব ছেড়ে পালাতে চায়। ব্রহ্মাণ্ডের মালিক কারণার্ণবে শুয়ে শুয়ে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকেরা নানান প্রকার ধর্মঘট ভাংচুর করছে, বলছে, দুনিয়ার মজদুরে এক হও। কিন্তু বিশ্বাস মিলে না। মেলার কথাও না, যারা নিয়ম-কানুন বানায়, তারা বলে, মালিকের খেলা সব। এক আর হয় না। ঊন সকলের নিয়ত ও নিয়তি ঐ ব্রহ্মাণ্ডে বিরাজ হতে চাওয়া পর্যন্তই।

—————

ব্যক্তি বা বিষয়ের জালে আটকা হয়ে ব্রহ্মান্ডের পানে ঝুলে থাকাই যদি নিয়তি হলো, হাত পা ছোড়াছুড়ি করে দেখা যায়। তাতে হয়তো জাল আরো ছড়াবে, মহাকর্ষ আরো ডুবিয়ে দিবে তার বক্র-পাঁকের মধ্যে।

—————

যে পথে যাওয়া হয় নি
যে পথে যাওয়া হলো
যে পথ ভাবা গেলো
যে পথ ভাবাও যায় নি

এই সকল ভাবনার ব্যকরণে
পদের শৃঙ্খলা ও বিদ্রোহে
শব্দগুলির ফাঁকে ফাঁকে
অনুচ্চারিত নীরবতার মধ্যে
পতিত ভূমির কাছে
আদর্শ ফসলের আকাঙ্ক্ষায়
অবাধ্য উড্ডয়ন কিংবা
উন্নয়ন শ্রম হয়ে বেঁচে থাকা

পথগুলি অনন্তর দীর্ঘশ্বাস।