একটা কাক আরেকটা কুকুরের দেখা গুলশান লেকের পূর্বদিকে। পানি খেতে এসেছে। এই করোনার মধ্যে এরা মানুষকে পর্যবেক্ষণ করছে যার যার প্রজাতির পক্ষে। দুইজনেরই ধারণা, কাকজাতি আর কুকুরজাতি মানুষকে যত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে, মানুষ করে না। গুলশানে মানুষেরা ওদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে। কুকুরদের রান্না করা খুদের জাউ রাস্তায় বেড়ে খাওয়ানো হচ্ছে, অনেকেই অভয়াশ্রমেও জায়গা পেয়েছে। ওদিকে কাক জানাচ্ছে, মানুষ প্রচুর ছাদে যায় ইদানিং, যাবার সময় হাতে মুড়ি, খই নিয়ে যায় এবং ছিটাচ্ছে প্রচুর। ভাইরাসের সংক্রমণে শহরগুলি লকডাউনে গিয়েছে, গ্রামেও চেষ্টা চলেছে। মানুষেরই খাবার যোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে। তারা ভাবছে কাক ও কুকুরেরাও নিশ্চয়ই অনেক কষ্টে আছে। এতে মনে হতে পারে মানবজাতি কাকপ্রেমী ও কুকুরপ্রেমী এবং এদের প্রতি প্রচুর মনোযোগী। আসলে তা নয়, এগুলি মানুষের হেয়াল-খেয়াল। কুকুর এবং কাকের প্রকৃত প্রয়োজন এরা জানে না। দেশের অন্যান্য সকল এলাকায় এরই মধ্যে কাক ও কুকুরের প্রচুর খাদ্য সন্ধানের ব্যবস্থা হচ্ছে, আর কটা দিন অপেক্ষা মাত্র। শকুনজাতির এজেন্টরাও তাই জানিয়েছে। প্রজাতিগুলির নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কে এইসব ব্যাপারে আরো আরো খবর ভেসে আসছে। শুধু মানুষ জানে না। এরা এই নেটওয়ার্ক এর বাইরে চলে গেছে অনেক দিন ধরেই। এরা যোগাযোগের ভাষা ভুলে গেছে।
এজেন্ট ০০৭