আমাদের গ্রামে এক রাজমিস্ত্রী নিজের ঘরের সিমেন্টের মিশালে ভেজাল দিয়েছিলেন। অন্যরা বকাবকি করাতেও শোনে নি। এই বৈশাখের ঝড়ে সে দেয়াল চাপা খেয়ে মরে যাবে।
আরেকজন ছিলেন গুজব রচনাকারী। নিজের বউ এর মিছে প্রেমিকের কথা বলে বেড়াতেন পড়শীর কাছে। যদিও সে দাবি করতো, কথিত প্রেমিককে সে কখনো দেখে নি। না, তার কিছু হয় নি। বজ্র বা তাল কোনোটাই তার মাথায় ভেঙ্গে পড়ে নি।
অনেকে বলে রাজমিস্ত্রী লোকটাই মরে ভূত হয়ে গুজব রচনাকারী হয়ে ফিরে এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করি নি। বিশ্বাস করেছি তার গল্পগুলিকে। সে মাঝে মাঝেই গল্প করে। গলাকাটা ছেলেধরার গল্প সেই প্রথম করেছিল। একটা কদম গাছের তলে বসে। গরম ফুলুরিতে ফু দিতে দিতে শুনেছিল সবাই। বৃষ্টির ছাট সেই ফুলুরির তেলের কড়াইয়ে এক দু ফোটা পড়ে ঝাঝ বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
ছেলে ধরা লোকগুলি ছদ্মদেশে এসেছিল। কদম গাছের গুড়িতে আমরা একজনকে বেঁধে পিটিয়েছিলাম। মাথা রাখার ছালাটা যদিও খুজে পাওয়া যায় নি। ছালাটা নিশ্চয়ই ছিল। পদ্মা ব্রিজের জন্য ছালা নিয়ে গেছে চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ার রা।
পুলিশ এসে বলেছিল লোকটার পাঁজর ভেঙে ফুসফুসে ঢুকে গেছে। কদম গাছের গুড়িতে গণপিটুনিতে নিহত লোকটার শরীরের রক্তের দাগ দেখে গুজব রটনাকারী লোকটা বলেছিল, আমি ছেলেধরা কখনো দেখিনি। গলাকাটা লাশও দেখিনি। ছালাও দেখিনি। আমরা তার কথা বিশ্বাস করেছিলাম আবারও।
একদিন সে আমাদের চাইনিজ ভাইরাসের কথা জানালো। যে ভাইরাস অযুত নিযুত হয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চৈত্র মাস ভাইরাসের ডিম পাড়ার কাল। বছরের শেষ পূর্নিমার দিন সব ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। আমাদের অবিশ্বাস দূর করতে সে আরো জানালো, সে কোনোদিন ভাইরাস দেখেনি। আমাদের গ্রামের দুইশত বছরের পুরানো মসজিদের বা তিনশ বছরের পুরানো শ্মশানের মুরুব্বিরাও জানালেন, তারাও কেউ কোনোদিন ভাইরাস দেখেন নি।
শুধু জানি, এ বছরের শেষ পূর্নিমার তারিখ ইংরেজিতে এপ্রিলের সাত। এই সাত সংখ্যাটাও আমাদের বিশ্বাস আরো বাড়িয়ে তোলে।
আরেকজন ছিলেন গুজব রচনাকারী। নিজের বউ এর মিছে প্রেমিকের কথা বলে বেড়াতেন পড়শীর কাছে। যদিও সে দাবি করতো, কথিত প্রেমিককে সে কখনো দেখে নি। না, তার কিছু হয় নি। বজ্র বা তাল কোনোটাই তার মাথায় ভেঙ্গে পড়ে নি।
অনেকে বলে রাজমিস্ত্রী লোকটাই মরে ভূত হয়ে গুজব রচনাকারী হয়ে ফিরে এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করি নি। বিশ্বাস করেছি তার গল্পগুলিকে। সে মাঝে মাঝেই গল্প করে। গলাকাটা ছেলেধরার গল্প সেই প্রথম করেছিল। একটা কদম গাছের তলে বসে। গরম ফুলুরিতে ফু দিতে দিতে শুনেছিল সবাই। বৃষ্টির ছাট সেই ফুলুরির তেলের কড়াইয়ে এক দু ফোটা পড়ে ঝাঝ বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
ছেলে ধরা লোকগুলি ছদ্মদেশে এসেছিল। কদম গাছের গুড়িতে আমরা একজনকে বেঁধে পিটিয়েছিলাম। মাথা রাখার ছালাটা যদিও খুজে পাওয়া যায় নি। ছালাটা নিশ্চয়ই ছিল। পদ্মা ব্রিজের জন্য ছালা নিয়ে গেছে চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ার রা।

পুলিশ এসে বলেছিল লোকটার পাঁজর ভেঙে ফুসফুসে ঢুকে গেছে। কদম গাছের গুড়িতে গণপিটুনিতে নিহত লোকটার শরীরের রক্তের দাগ দেখে গুজব রটনাকারী লোকটা বলেছিল, আমি ছেলেধরা কখনো দেখিনি। গলাকাটা লাশও দেখিনি। ছালাও দেখিনি। আমরা তার কথা বিশ্বাস করেছিলাম আবারও।
একদিন সে আমাদের চাইনিজ ভাইরাসের কথা জানালো। যে ভাইরাস অযুত নিযুত হয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চৈত্র মাস ভাইরাসের ডিম পাড়ার কাল। বছরের শেষ পূর্নিমার দিন সব ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। আমাদের অবিশ্বাস দূর করতে সে আরো জানালো, সে কোনোদিন ভাইরাস দেখেনি। আমাদের গ্রামের দুইশত বছরের পুরানো মসজিদের বা তিনশ বছরের পুরানো শ্মশানের মুরুব্বিরাও জানালেন, তারাও কেউ কোনোদিন ভাইরাস দেখেন নি।
শুধু জানি, এ বছরের শেষ পূর্নিমার তারিখ ইংরেজিতে এপ্রিলের সাত। এই সাত সংখ্যাটাও আমাদের বিশ্বাস আরো বাড়িয়ে তোলে।