Tuesday, May 08, 2018

লেখার ইতিহাস



নিকান্দুনির চোখের জল লাগবে লক্ষ্মণ কে বাঁচাতে। নিকান্দুনি নিকষা কোথায়? হাইছ! বাল্মীকির কি সাধ্য ছিল ঘরের হাইছ এ নিকষা কে বসিয়ে রাখে? এই সাফল্য বাংলার রামায়ন গাতকের। লিখিত পৃথিবীর ইতিহাসে কে কখন শর্তারোপ করেছে, যে নিকষা লংকাপুরীর সাজানো কিচেনে বসে পানের বাটা থেকে পান নেয়া অবস্থায় হনুমান আক্রান্ত হবেন? পশ্চিম আফ্রিকার মান্ডিদের মধ্যেও সেই একই আচার। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিনের বংশধরের গুনগান আফ্রিকান মান্ডি আর রঘুবংশের গান করা বাংলার গাতকের মধ্যে ভাবে, কর্মে, রসে খুব পার্থক্য নেই।

বইয়ের রিভিউ তে ফেরা যাক। এই বইটার গুড রিডস রিভিউ তে একজন এক তারা দিয়েছেন। আমি দিয়েছি পাঁচ। কারণ ইংরেজী পড়তে আমার অনেক কষ্ট হয়, এত কষ্ট করে পড়েছি, আমার পড়াকেই পাঁচ তারা (আসলে কষ্ট হলে পড়ে শেষ করতে পারতাম না)। যিনি একতারা দিয়েছেন, তার রিভিউ তে উনি যে কারণে বইটা পড়তে পারেন নি সেটার উল্লেখ করেছেন, এমন আমারও হয়। অরওয়েলের এনিম্যাল ফার্মও আমি একসময় পড়তে পারিনি। ধৈর্যশক্তি বাড়ার পরে পেরেছি। যাই হোক। ভারতীয় ব্রাহ্মী লিপির উদ্ভব কবে থেকে এরকম একটা ব্যাপারে লেখকের উল্লেখ নিয়ে রিভিউয়ারের আপত্তি। আমি উইকিপিডিয়া থেকে মেলালাম। খুব বেশি আপত্তি করলাম না, যদিও আমিও খানিকটা চমকে গিয়েছিলাম।

আর কি? লেখকের নিজস্ব ভ্রমণ সাহিত্যের ইতিহাসে। খানিকটা ভূগোল। খুব অবাক লাগে মাঝে মাঝে, পৃথিবীটা কেন গোল হলো সেটা ভেবে। ঘূর্ণনের জটিল বা সরল ব্যাখ্যা তো আছেই। এই যে নানান দিকে মানুষ আছে, তাদের একটা সমতল পাতের দুই দিকে বা কিউবের ছয় দিকে রেখে ঠিক যেন সাম্যাবস্থা হয় না। কিসব বলছি! বইটা পড়েন।