Saturday, April 14, 2018

কোথাও কোন পরিবর্তন নেই আর


তিন

ফিলিপিনী ক্রীতদাসী
পাললিক গৃহবধু ব’নে।
স্বর্ণ-তোরণ সেতু
সবুজ সেতু – ব্রিসবেন নদী
কোন কিছু রইবে না টিকে তার
এক মিশরীয় পিরামিড চূড়া
ধূসর বালুর নিচে, রাশমোর পর্বত
কৃষ্ণকায় কয়লার স্তূপ;
যত মানব সৃষ্ট আকর
পূর্বী নদীতে ধ্বসে যাবার আগে-
সৈকতের জলের বালুর মতো ধুয়ে যাবে,
শামীয়-রোমক-য়্যুরোপীয় শৌর্য-শির।


এই এক আক্ষেপ
‘হায়’ প্রশান্ত জলাশয়!
ছোট ছোট গুচ্ছগ্রাম, আরণ্যক প্রশান্তি
বিস্তীর্ণ মরুর বুকে
আমার পূর্বপুরুষের বসতি
শিকার আর ঘুম বাদে, মাতাল ঘুম
এর বাদে শিখে নাই কিছু-চাষবাস।
নৌকার গলুই-সাতঁরে মহাদেশ
জানেনা সেসব কবেকার-
শুধু জানে, স্বপ্নের মাঝে ডাকে তারে সমুদ্র
বলে “ফিরে আয়”, লোনা জল মেখে ঘেমে ফিরে আসে
নিজের বিছানায়, বালিশের কাছে একটু ভেজা-
কোথাও কোন পরিবর্তন নেই আর।


সুপার মার্কেট ফেরত গৃহবধু
ওজন কমাতে দৌড়োচ্ছে প্রতিদিন
উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠের চারিধার।
প্রেমিকার লিপস্টিক মুছে গেলে ভাবে
‘ঐ বুঝি দেখে কেউ’!
এখানে থামতে হবে-
নয়ত শনিবার বিকেলে পাব-রেস্তোরা থেকে
সোজা বেডরুমে-
ছাড়, খ্রিস্টিয় জন্মদিনের ছাড়।



চার 



বেণুবনে একা কাঁদে হাঁস, শামুকের
শ্বাসরোধ হয়, ধ্রুব সাঁতরাচ্ছিলেন
একা- লোকায়ত/লোকোত্তরে,
পরামিলে সাংখ্যজাতিকা, ঐশ্বরিক
ঈর্ষাবায়ুর হলকায় দ্বীপান্তরে
যাচ্ছে পুড়ে কুটিরশিল্প সংগ্রহশালা!



ধীবর অঙ্গে আঁকা হলো ব্যাসরেখা
বোর্হেসের গ্রন্থাগারে আঁতি-পাতি
আগে-পরে ব্যাখ্যা হাজার, গোলাপের
নাম খুন, পাথর বিবর্তনে হয়
কাঠ, ডিম ভেঙ্গে তেড়ে আসে
প্লাটিপাস, নির্ভার মায়ের কোল-
তুই দিবি দুর্গা? কাফের তবে
সন্ধান করুক মুসলমানের লাশ!



শ্রীকৃষ্ণ নাকি হলধর? এই করে
কাটালে শৈশব, সহস্র-ফণা-নাগ আর
মৃগয়া ভ্রমে শর বিঁধে মরলো মানুষ।
পালাবে কোথায়? ফেরাও, তোমাতেই
অহল্যার সমূহ সর্বনাশ, লেজ ধরে
পার হবে পুলসিরাত/বৈতরণী?
উপনিষদে গাভী ছিল। ণ-ত্ব বিধান
অপেক্ষা শ্রেয় জিহবা আর নাভীমূলে
উচ্চারণ! মহৎ সে কিতাবের সারাংশে
ভুল নেই, আছে মানুষের কথা
ভেড়া আর ঈগলের উপাখ্যান, আর
যত স্বৈরাচারী শালিকের জয়গান।



মা গো, তুমি ই তো বলেছিলে
আমার মৃত্যু হবে না, তবে কেন
গঙ্গায় ছুঁড়ে দিলে? আমি তো
জানিনা সাঁতার।ডুব দেবো, মুক্তাপরীর
দেশে যাবো, ঝিনুকের বুকে
হবো বালির অন্তরাল, কেঁদো না।