তিন
ফিলিপিনী ক্রীতদাসী
পাললিক গৃহবধু ব’নে।
স্বর্ণ-তোরণ সেতু
সবুজ সেতু – ব্রিসবেন নদী
কোন কিছু রইবে না টিকে তার
এক মিশরীয় পিরামিড চূড়া
ধূসর বালুর নিচে, রাশমোর পর্বত
কৃষ্ণকায় কয়লার স্তূপ;
যত মানব সৃষ্ট আকর
পূর্বী নদীতে ধ্বসে যাবার আগে-
সৈকতের জলের বালুর মতো ধুয়ে যাবে,
শামীয়-রোমক-য়্যুরোপীয় শৌর্য-শির।
এই এক আক্ষেপ
‘হায়’ প্রশান্ত জলাশয়!
ছোট ছোট গুচ্ছগ্রাম, আরণ্যক প্রশান্তি
বিস্তীর্ণ মরুর বুকে
আমার পূর্বপুরুষের বসতি
শিকার আর ঘুম বাদে, মাতাল ঘুম
এর বাদে শিখে নাই কিছু-চাষবাস।
নৌকার গলুই-সাতঁরে মহাদেশ
জানেনা সেসব কবেকার-
শুধু জানে, স্বপ্নের মাঝে ডাকে তারে সমুদ্র
বলে “ফিরে আয়”, লোনা জল মেখে ঘেমে ফিরে আসে
নিজের বিছানায়, বালিশের কাছে একটু ভেজা-
কোথাও কোন পরিবর্তন নেই আর।
সুপার মার্কেট ফেরত গৃহবধু
ওজন কমাতে দৌড়োচ্ছে প্রতিদিন
উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠের চারিধার।
প্রেমিকার লিপস্টিক মুছে গেলে ভাবে
‘ঐ বুঝি দেখে কেউ’!
এখানে থামতে হবে-
নয়ত শনিবার বিকেলে পাব-রেস্তোরা থেকে
সোজা বেডরুমে-
ছাড়, খ্রিস্টিয় জন্মদিনের ছাড়।