Sunday, February 15, 2009

অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরঃ শাহাদাৎ হোসেন

...আসিয়াছ যদি তবে ঢেলে দাও অশ্রান্ত ধারায়/তোমার অমৃতরস মুমূর্ষুর তীব্র পিপাসায়;/জ্যোতিপুঞ্জে উদ্ভাসিয়া ঘনান্ধ শ্মশান/কঙ্কাল প্রেতের কন্ঠে জাগাইয়া তোল নব জীবনের উদ্বোধন গান/দিক দিগন্তের ধরণীর মর্ম্মকেন্দ্র ঘন মুখরিয়া/ "স্বাগতম রমজান" গীতিকন্ঠে উঠুক রণিয়া। [রমজান,মৃদঙ্গ]


য়ামাদের পাঠ্য বইগুলোতে কবিতার যে কদরের বহর ছিল, তাতে এই নাম মনে থাকার কথা না। আমার শুধু দুটো কবিতার কথা মনে ছিল। জাঁহাগীরের আত্মসমর্পণ আর শাহজাহানের মৃত্যুস্বপ্ন। বাঙালি মুসলমান প্রথম আধুনিক কবি শাহাদাৎ হোসেনের জীবনের চরম দুর্ভোগের কারণ ছিল তার দেশ। পাকিস্তান নাকি ভারতীয় ইউনিয়ন। পাকিস্তানের তথাকথিত আদর্শ উজ্জীবিত কবি ঢাকায় এসে পড়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তার মন পড়ে ছিল তার গ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে। প্রায়ই চলে যেতেন সেখানে। ফলে পাকিস্তানের মহান রাষ্ট্রনায়কেরা তাকে নাগরিকত্ব তো দেয় নি, চাকুরিচ্যুত করে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতে। পাকিস্তানের বন্দনা করে কবিতা লিখেও কাজ হয়নি। ভারতেও অবহেলিত হয়েছেন। মৃত্যুর সময় অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য অর্থও ছিল না।

সম্প্রতি সি পি এম সংখ্যালঘুদের উপর দয়া দেখিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে, মুসলমান এ কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালনের।