ইগো
আমার একজন প্রেমিক ছিল, খাওয়ার সময় নিজেকে দেখতে দিত না। চাইতো না আমি দেখি, ও কীভাবে চিবোচ্ছে, গিলছে, গব গব করে খাচ্ছে বা পান করছে এবং দাঁতের ফাঁক থেকে মাংস চুষে বের করছে।
সে চাইত না আমি তাকে সঙ্কটাবস্থায় দেখে ফেলি।
পুরোনো "আমি" দেরকে
সব পুড়ে ফেলো
আগে যা যা বলেছ, যত বাণী-ভবিষ্যৎবাণী, আদেশ উপদেশ সব
লাগলে সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করো
গলায় অন্যের কথা
দাওয়াতে গিয়ে নাক নিচু করে ফালতু হাসাহাসি বাদ দাও:
সংশোধন আবশ্যিক,
ফুল ফোটার মতন প্রয়োজনীয়
তুমি যখন এক হাতে স্ফটিক আরেক হাতে প্রতিশোধ নিয়ে এসে হাজির হও, তখন মনে রেখো একটা মেঠো আবাবিল যখন বসন্তে ফেরত আসে, দাগওলা পালকগুলি বাদ দিলে সেও এক নতুন পাখি।
না, ওইরকম মায়া-মায়া ভাব নিয়ে নয়, তোমার শীতল কণ্ঠে, যেন তুমি চিন্তিত নও, সে ফোন করবে কি করবে না, তাতে তোমার কিছু আসে যায় না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলো, এর চেয়ে কত ভালোদের সাথে যেতে পারো। তুমি সেই মিষ্টি ধাঁধার মতো, স্বপ্নময়ী, তবে বোতলের ঢাকনা আঁটা। তোমার কোথাও কোনো দুর্বলতার আভাস নেই।
না, তুমি অন্য মেয়েদের মতো নও, সে বলে, স্মিতমুখে। তুমি যা যা ফেলে এসেছো, সে ওগুলিরই প্রশংসা করে।
টুয়েন্টিস
প্রথম পাঁকা চুল খুঁজে পাই ঊনিশে, প্রথম কোন ছেলের সাথে শুয়েছি একুশে।মাসের পর মাস শুধু শিম আর কটন বল খেয়ে থেকেছি। বছরের পর বছর পার করেছি হাই তুলে। একটা লম্বামতন লাল জামা পরে রাস্তায় তোমার সাথে নেচেছিলাম, সেই রাতের তারুণ্য আর কখনো ফিরে পাবো না। অনেক কিছু মনে নেই, আর কিছু জিনিস কখনো পাল্টায় না। প্রথমত, প্রথম সিগারেট আর দ্বিতীয়ত শরীরের রোমাঞ্চ। একবার জেরুজালেমে একটা মেয়েকে চুমু খেয়েছিলাম, ফিনফিনে একটা মেয়ে, চেরির মতন লাল ঠোঁট, তার ফোন নাম্বার রাখি নি। তাকে আরেকবার জড়িয়ে ধরার জন্য এত কাতর হবো, এটা বুঝতে পারি নি।
কলেজ বয়
কেট বেয়ার |